Table of Contents
المقالة :بر الْوَالِدَيْنِ
أَوْ حُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ/ طَاعَةُ الْوَالِدَيْنِ/ خِدْمَةُ الْوَالِدَيْنِ
الْمُقَدِّمَةُ : الْوَالِدَانِ هُمَا الْوَسِيلَتَانِ لِوُجُوْدِنَا فِي الدُّنْيَا. وَهُمَا يُكَلَّفَانِ لِلْأَوْلَادِ تَكْلِيْفًا شَدِيدًا . إِذَا أَرْجَبَ الله تَعَالَى الْإِحْسَانَ إِلَيْهِمَا عَلَى الْأَوْلادِ.
مَعْنَى بِرِّ الْوَالِدَيْنِ : الْبِرُّ لُغَةُ : الإِحْسَانُ وَالإِطَاعَةُ وَحُسْنُ السلوك. وَالْوَالِدَيْنِ : هُمَا الأَبُ وَالأم.
وفي الاصطلاحِ : بِرُّ الْوَالِدَيْنِ عِبَارَةٌ عَنْ إطَاعَةِ الأَب والأم والإحْسَانُ إلَيْهِمَا وَاحْتِرَامُهُمَا وَأَدَاءُ حُقُوقِهِمَا وَحُسْنُ الْمُعَامَلَةِ وَالْمُعَاشَرَةِ مَعَهُمَا .
سَبَتْ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ : الْوَالِدَانِ هُمَا أَسْفَقُ النَّاسِ وَأَرْحَمُهُمْ وَأَكْثَرُهُمْ حُبًّا لأَوْلَادِهِمْ. هُمَا يَتَحَمَلَانِ جَمِيعَ الْمَشَقَاتِ وَأَنْوَاعَ الآلام لِلأَوْلادِ. وَتَذُوقُ الْأُمُ الشَّدَائِدَ فِي حَمْلِهِمْ وَرَضَاعِهِمْ، وَكَمْ مِنْ لَيَالٍ مَضَتْ وَالْأَمْ سَاهِرَةً لِشِدِّةِ الْحَمْلِ وَلِمَرَضِ الْأَوْلَادِ. لذَا أَوْجَبَ اللهُ تَعَالَى بِرِّ الْوَالِدَيْنِ عَلَى الْأَوْلَادِ.
وَاجِبُ الْأَوْلَادِ نَحْوَ الْوَالِدَيْنِ : يَجِبُ عَلَى الأَوْلَادِ إطَاعَتُهُمَا وَحُسْنُ السُّلُوكِ مَعَهُمَا وَالْإِحْسَانُ إِلَيْهِمَا وَإظْهَارُ الرَّحْمَةِ وَالتَّوَاضُعُ لَهُمَا وَخِدْمَتُهُمَا خَاصَّةً فِي حَالٍ كِبَرِهِمَا. قَالَ اللهُ تَعَالَى "وَقَضَى رَبُّكَ أَنْ لا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِنْدَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُلْ لَهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا". وَبَعْدَ الْمَمَاتِ أَنْ يَدْعُوَ لَهُمَا وَحُسْنُ السُّلُوكِ مَعَ أَصْدِقَائِهِمَا إِنَّ الرَّسُوْلَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اهْتَمْ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ فَقَالَ : "بِرُّ الْوَالِدَيْنِ هُوَ أَفْضَلُ الْأَعْمَالِ".
حُكْمُ إِطَاعَةِ الْوَالِدَيْنِ : إِطَاعَةُ الْوَالِدَيْنِ فَرْضٌ عَلَى الْأَوْلَادِ. فَرَضَ اللَّهُ تَعَالَى بَعْدَ عِبَادَتِهِ إِطَاعَتَهُمَا، حَيْثُ قَالَ وَقَضَى رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا". وَعُقُوْقُهُمَا مِنْ أكْبَرِ الْكَبَائِرِ. قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : "رِضا الرَّبِّ فِى رِضا الْوَالِدَيْنِ وَسَخَطُ الرَّبِّ فِي سَخَطِ الْوَالِدَيْنِ". وَأَيْضًا قَالَ : "كُلُّ الذُّنُوبِ يَعْفُو اللهُ مِنْهَا مَا شَاءَ إِلَّا عُقُوقَ الْوَالِدَيْن".
حث الرَّسُوْلُ عَلى بِرِّ الْوَالِدَيْنِ : حث الرَّسُوْلُ (ص) عَلى بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَإِطَاعَتِهِمَا فَقَالَ "بِرُّ الْوَالِدَيْنِ هُوَ أَفْضَلُ الْأَعْمَالِ". جَاءَ فِي حَدِيْثِ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : سَأَلَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ! مَنْ أَحَقُّ بِحُسِنِ صَحَابَتِي؟ قَالَ أمُّكَ، قَالَ ثُمّ مَنْ؟ قَالَ أَمُّكَ، قَالَ ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ أَمُّكَ، قَالَ ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ أَبُوكَ".
الْخَاتِمَةُ : يَجِبُ عَلَيْنَا أَنْ نُطِيعَ الْوَالِدَيْنِ وَنُحْسِنَ إِلَيْهِمَا وَنَمْتَثِلَ أَوَامِرَهُمَا وَنَجْتَنِبَ نَوَاهِيَهُمَا وَنَدْعُوَ لَهُمَا بِقَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ : "رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا".
আরবি প্রবন্ধ/রচনা: পিতামাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার
উপস্থাপনা : পিতামাতা পৃথিবীতে আমাদের অস্তিত্বের মাধ্যম। তাঁরা সন্তানের জন্য ভীষণ কষ্ট সহ্য করেন। এ কারণে আল্লাহ তায়ালা তাঁদের প্রতি সদ্ব্যবহার করা সস্তানদের ওপর আবশ্যক করে দিয়েছেন।
بِرُّ الْوَالِدَيْنِ -এর অর্থ: بِرُّ শব্দের অর্থ- দয়া করা, আনুগত্য করা ও সদ্ব্যবহার করা। আর الْوَالِدَيْنِ অর্থ— পিতামাতা। পরিভাষায় بِرُّ الْوَالِدَيْنِ হলো, পিতামাতার আনুগত্য করা, তাঁদের প্রতি দয়া করা, তাঁদেরকে সম্মান করা, তাঁদের অধিকার প্রদান করা এবং তাঁদের সাথে উত্তম আচরণ করা।
পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহারের কারণ: পিতামাতা হলেন সস্তানদের প্রতি অধিক স্নেহশীল, দয়াপরবশ এবং অধিক ভালোবাসা লালনকারী। তাঁরা সন্তানের জন্য সকল কষ্ট ও বিভিন্ন প্রকারের যন্ত্রণা সহ্য করেন। তাদের গর্ভ ও দুগ্ধপানে মা কঠিন কষ্ট ভোগ করেন। অনেক রাত যা গর্ভ ধারণের কষ্ট এবং সন্তানের অসুস্থতার জন্য বিনিদ্র কাটান। তাই আল্লাহ সস্তানদের ওপর পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করা ওয়াজিব করেছেন।
পিতামাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব : সন্তানের দায়িত্ব হলো তাঁদের আনুগত্য করা, তাঁদের সাথে সুন্দর আচরণ করা, তাঁদের প্রতি সদ্ব্যবহার করা, তাঁদের প্রতি অনুগ্রহ ও বিনয় প্রকাশ করা এবং বিশেষত বার্ধক্যের সময় তাঁদের সেবা করা। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, “আর আপনার প্রতিপালক সিদ্ধান্ত প্রদান করেন যে, তোমরা শুধু তাঁরই ইবাদত করবে এবং পিতামাতার প্রতি সদয় আচরণ করবে। যদি তাঁদের কোনো একজন বা উভয় তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হয় তাহলে তুমি তাঁদের কোনো ব্যাপারে উহ শব্দও উচ্চারণ করবে না, তাঁদেরকে ধমক দিবে না, তাঁদের সাথে সম্মানজনক কথা বলবে”। আর মৃত্যুর পর তাঁদের জন্য দোয়া করবে, তাঁদের বন্ধুদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করবে। রাসূল (স) পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার প্রতি গুরুত্ব প্রদান করে ইরশাদ করেন, “পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা হলো সর্বোত্তম আমল”।
পিতামাতার আনুগত্যের বিধান: পিতামাতার আনুগত্য করা সন্তানের ওপর ফরয। আল্লাহ তায়ালা নিজের ইবাদতের পর তাঁদের আনুগত্য করা ফরয করেছেন। যেমন তিনি বলেন, “আর তোমার রব সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, তোমরা শুধু তাঁরই ইবাদত করবে এবং পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করবে”। তাঁদের অবাধ্যতা সবচেয়ে বড় কবিরা গুনাহ। নবী কারীম (স.) ইরশাদ করেন, পিতামাতার সন্তুষ্টিতে রবের সন্তুষ্টি এবং তাঁদের অসন্তুষ্টিতে রবের অসন্তুষ্টি”। তিনি আরও বলেন, “আল্লাহ পিতামাতার অবাধ্যতা ব্যতীত আর যে কোনো পাপ চাইলে ক্ষমা করবেন”।
পিতামাতার খেদমতের প্রতি রাসূল (স)-এর উৎসাহ প্রদান: রাসূল (স) পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাঁদের আনুগত্য করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করে বলেন, “পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার উত্তম আমল”। আবু হোরায়রা (রা)-এর হাদীসে এসেছে— “জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! কে আমার উত্তম সান্নিধ্য পাওয়ার উপযুক্ত? রাসূল (স) বললেন, তোমার মা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার পিতা”।
উপসংহার : আমাদের কর্তব্য হলো পিতামাতার আনুগত্য করা, তাঁদের প্রতি দয়া করা, তাঁদের আদেশ পালন করা, তাঁদের নিষেধকৃত বিষয় থেকে দূরে থাকা এবং তাঁদের জন্য আল্লাহর ভাষায় এ দোয়া করা যে, “হে আমার রব! তুমি তাঁদের প্রতি দয়া কর, যেমন তাঁরা আমাকে শৈশবে লালনপালন করেছেন”।
আপনার পছন্দের আর দেখুন
WhatsApp Channel
Join Now
Telegram Group
Join Now