Table of Contents
Sibling Rivalry বা সহোদরদের মাঝে ঝগড়া বিবাদ কমবেশি সব পরিবারেই হয়ে থাকে। বোন ভাইকে একটা চিমটি দেবে, ভাই একটা বকা দিবে, বালিশ ছোড়াছোড়ি করবে, এরকম না হলে ভাই বোনের সম্পর্কের মজা কোথায়!? কিন্তু আনন্দের সীমারেখা যখন হিংসা, ক্রোধ ও সহিংসতা দিয়ে লঙ্ঘন হয়, তখনই দেখা দেয় নানা সমস্যা।
কয়েক যুগ আগেও, একই ছাদের নিচে একসাথে বেড়ে উঠত অনেক ভাই-বোন; কিন্তু এখন সভ্যতার অগ্রসরের সাথে সাথে পরিবার ছোট হচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত যে, একা বড় হওয়া সন্তানদের থেকে ভাইবোনের সাথে বড় হওয়ার সন্তানেরা বহু দিকেই এগিয়ে থাকে। কিন্তু অনেক সময় দ্বিতীয় সন্তান জন্মের পর থেকেই ঘরে শুরু হয়ে যায় অশান্তি। সহোদরদের মাঝে দ্বন্দ্ব কখনো সরাসরি আঘাতের পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে!
বাবা-মা হিসেবে আপনি কিন্তু Sibling rivalry অনেকক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন নিচের কাজগুলোও করে -
১. Don't get involved: বাচ্চাদের ঝগড়ায় যতক্ষন পর্যন্ত সম্ভব তাদের নিজেদেরই মিটমাট করতে দিন। কারন এতে তারা নিজেরা সমাধান করতে শিখবে।
২. Don't blame one: যদি মারাত্মক পরিস্থিতিতে আপনাকে হস্তক্ষেপ করতে হয়, তাহলে যথাসম্ভব এমন সমাধান দেয়ার চেষ্টা করবেন যাতে উভয়ই লাভবান হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুরা মনে করে যে, বাবা- মা অন্য ভাই/বোনকে বেশি ভালবাসে বা গুরুত্ব দেয়; আপনি একজনকেও দোষী সাব্যস্ত করলে, তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের আরো অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
৩. Provide time separately: একসাথে পারিবারিক সময় কাটানো যেমন প্রয়োজন, একটি পরিবারের সন্তানদের আলাদা সময় দেয়াটাও জরুরি। প্রত্যকের চাহিদা এবং পছন্দ ভিন্ন, যা অভিভাবক হিসাবে জানা আপনার কর্তব্য। সপ্তাহে একদিন হলেও, সন্তানদের প্রত্যকেকে আলাদা সময় দিন, যেখানে সে নিজের গোপন কথা বলতে পারবে ও আপনার পূর্ন মনোযোগ পাবে।
৪. Teach equity: সমান ভাগের চেয়ে সাম্যতা শিক্ষা দরকার। ১ বছরের ও ৬ বছরের দুইজন বাচ্চার মাঝে আপনি একই পুতুল সমান ভাগ করে দিলে তারা সমান খুশি হবে না! তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী আপনাকে সাম্যতা বজায় রাখতে হবে, যেমন - পছন্দসই ভাবে একজনকে পুতুল, অপরকে গাড়ি দেয়া।
৫. Get professional help: অনেক সময় বাচ্চাদের আচরণ নিয়ন্ত্রনে রাখা অভিভাবকের পক্ষে সম্ভব হয় না, এসময় একজন প্যারেন্টিং বিশেষজ্ঞের উপদেশ আপনার জন্য দরকার। আবার অনেক শিশু বাবা-মার কথা মেনে চলার চাইতে, একজন প্রফেশনালের কথা শুনতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
খুনসুটির সম্পর্কের আড়ালে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর সম্পর্কের একটি হল-ভাইবোনের ভালবাসা। এই ভালবাসা গড়ে তোলায় বেশি ভূমিকা পরিবারের, আর ধরে রাখায় তাদের নিজেদের।