Table of Contents
দরূদে তাজ-এর ফযীলত
- ফজরের নামাযের পর ৭ বার দুরূদে তাজ পড়লে রুজী বৃদ্ধি পাবে এবং দ্রুত সম্পদশালী হবে।
- রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর দিদার লাভ করতে হলে জুমার রাতে চন্দ্র উঠার পর এশার নামাযের পর ওযূসহকারে পাক-খুশবুদার কাপড় পরে কেবলামুখী হয়ে বসে ১৭০ বার উক্ত দরূদ শরীফ পড়ে ঘুমাবে। পরপর ১১ রাতে এ আমল করলে রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর দিদার লাভে ধন্য হবে।
- দারিদ্র, দুঃখকষ্ট এবং শত্রু ও অত্যাচারী শাসক থেকে রক্ষা পেতে এ দুরূদ এশার নামাযের পর ৪০ দিন ৪১ বার করে পড়তে থাকবে।
- অন্তরের পবিত্রতার জন্য এ দুরূদ শরীফ ফজরের নামাযের পরে ৭ বার এবং আসর ও এশার নামাযের পরে ৩ বার পড়বে।
بِسْمِ اللّٰہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
اَللّٰہُمَّ صَلِّ عَلٰی سَیِّدِنَا وَمَوْلاَنَا مُحَمَّدٍ صَاحِبِ التَّاجِ وَالْمِعْرَاجِ وَالْبُرَاقِ وَالْعَلَمِ ط دَافِعِ الْبَلآَءِ وَالْوَبَآءِ وَالْقَحْطِ وَالْمَرَضِ وَالْاَلَمِط اِسْمُہٗ مَکْتُوْبٌ مَّرْفُوْعٌ مَّشْفُوْعٌ مَّنْقُوْشٌ فِی اللَّوْحِ وَالْقَلَمِط سَیِّدِ الْعَرَبِ وَالْعَجَمِط جِسْمُہٗ مُقَدَّسٌ مَعَطَّرٌ مُّطَہَّرٌ مُّنَوَّرٌ فِی الْبَیْتِ وَالْحَرَمِ ط شَمْسِ الضُّحٰی بَدْرِ الْدُّجٰی صَدْرِ الْعُلٰی نُوْرِ الْہُدٰی کَہْفِ الْوَرٰی مِصْبَاحِ الظُّلَمِط جَمِیْلِ الشِّیَمِط شَفِیْعِ الْاُمَمِط صَاحِبِ الْجُوْدِ وَالْکَرَمِ ط وَاللّٰہُ عَاصِمُہٗ وَجِبْرِیْلُ خَادِمُہٗ وَالْبُرَاقُ مَرْکَبُہٗ وَالْمِعْرَاجُ سَفَرُہٗ وَسِدْرَۃُ الْمُنْتَہٰی مَقَامُہٗ وَقَابَ قَوْسَیْنِ مَطْلُوْبُہٗ وَالْمَطْلُوْبُ مَقْصُوْدُہٗ وَالْمَقْصُوْدُ مَوْجُوْدُہٗط سَیِّدِ الْمُرْسَلِیْنَ خَاتَمِ النَّبِیِّیْنَ شَفِیْعِالْمُذْنِبِیْن اَنِیْسِ الْغَرِیْبِیْنَ رَحْمَۃٍ لِّلْعٰلَمِیْنَ رَاحَۃِ الْعَاشِقِیْنَ مُرَادِ الْمُشْتَاقِیْنَ شَمْسِ الْعَارِفِیْنَ سِرَاجِ السَّالِکِیْنَ مِصْبَاحِ الْمُقَرَّبِیْنَ مُحِبِّ الْفُقَرَآءِ الْغُرَبَآءِ وَالْمَسَاکِیْنِطسَیِّدِ الثَّقَلَیْنِ نَبِیِّ الْحَرَمَیْنِ اِمَامِ الْقِبْلَتَیْنِ وَسِیْلَتِنَا فِی الدَّارَیْنِ صَاحِبِ قَابَ قَوْسَیْنِ مَحْبُوْبِ رَبِّ الْمَشْرِقَیْنِ وَالْمَغْرِبَیْنِ جَدِّ الْحَسَنِ وَالْحُسَیْنِ مَوْلاَنَا وَمَوْلَی الثَّقَلَیْنِط اَبِی الْقَاسِمِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللّٰہِ نُوْرٍ مِّنْ نُّوْرِ اللّٰہِط یٰآَیُّہَا الْمُشْتَاقُوْنَ بِنُوْرِ جَمَالِہٖ صَلُّوْا عَلَیْہِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِیْمًاo
দরুদে তাজ বাংলা উচ্চারণ
বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহী-ম, আল্লাহুম্মা সল্লি আলা সায়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন্, ছাহিবিত্ তাজি ওয়াল্ মি’রাজি ওয়াল্ বুরাক্বি ওয়াল আলাম্। দা-ফি‘ইল্ বালা-ই ওয়াল্ ওবা-ই ওয়াল্ ক্বাহ্ত্বি ওয়াল্ মারাদ্বি ওয়াল্ আলাম্। ইস্মুহূ মাক্তূবুম্ র্মাফুউম্ মাশ্ফূউম্ মানকুশুন ফিল্ লাওহি ওয়াল্ ক্বলাম্। সাইয়্যিদিল্ আরাবি ওয়াল্ আজম্। জিস্মুহূ মুক্বাদ্দাসুম্ মু‘আত্ত্বারুম্ মুতাহ্হারুম্ মুনাওয়ারুন্ ফিল্ বাইতি ওয়াল্ হারাম্। শামছিদ্দুহা বাদারিদ্দুজা সদ্রিল্ উলা নূরিল্ হুদা কাহ্ফিল্ ওয়ারা মিছ্বাহিয্ যুলাম্। জামীলিশ্ শিয়ামি, শাফী‘ইল উমামি সা-হিবিল্ জূদি ওয়াল্ কারাম্। ওয়াল্লাহু আছিমুহূ ওয়া জিব্রীলু খাদিমুহূ ওয়াল্ বুরাক্বো র্মাকাবুহূ ওয়াল্ মি’রাজু ছাফারুহূ ওয়া সিদ্রাতুল্ মুন্তাহা মাক্বামুহূ ওয়া ক্বাবা ক্বাওসাইনি মাত্বলুবুহূ ওয়াল্ মত্লূবু মাক্বসূদুহূ ওয়াল্ মাক্বসূদু মাওজূদুহূ, সাইয়্যিদিল্ র্মুসালীনা, খা-তামিন্ নবিয়্যীনা, শাফী’ইল্ মুযনিবীনা, আনীছিল্ গারীবীনা, রাহ্মাতিল্লিল্ আলামীনা, রাহাতিল্ আশিক্বীনা, মুরাদিল্ মুশ্তাক্বীনা, শামসিল্ আরিফীনা, সিরাজিস্ সা-লিকীনা, মিস্বাহিল্ মুক্বাররাবীনা, মুহিব্বিল্ ফোক্বারা-ই ওয়াল্ গোরাবা-ই ওয়াল্ মাছাকীনা, সাইয়্যিদিছ্ ছাক্বালাইনি, নবীয়্যিল্ হারামাইনি, ইমামিল্ ক্বিব্লাতাইনি, ওয়াসীলাতিনা ফিদ্দারাঈনি, ছাহিবি ক্বা-বা ক্বাওছাইনি, মাহ্বূবে রাব্বিল্ মাশরিকাইনি ওয়াল্ মাগরিবাইনি, জাদ্দিল্ হাসানি ওয়াল্ হোসাইনি রাদ্বিয়াআল্লাহু তায়ালা আন্হুমা মাওলানা ওয়া মাওলাছ্ সাক্বালাইনি, আবিল্ ক্বাচিম্ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলাইহি ওসাল্লাম ইবন্ আব্দিল্লাহি নূরিম্ মিন্ নূরিল্লাহ। ইয়া আইয়্যূহাল্ মুশ্তাক্বূনা বি নূরি জামালিহী সল্লূ আলাইহি ওয়াসাল্লিমূ তাস্লীমা। (দরূদ শরীফ)
দরুদে তাজ বাংলা অর্থ
আল্লাহর নামে আরম্ভ যিনি পরম দয়ালু, করুণাময়। হে আল্লাহ্! তুমি আমাদের সরদার এবং আমাদের আক্বা হযরত মুহাম্মদ মোস্তফার প্রতি শান্তি বর্ষণ করো, যিনি মুকুট, মি’রাজে (যাওয়ার) বোরাক্বে আরোহন করার ও ঝান্ডার অধিকারী, যিনি বিপদ আপদ, অসুখ, দুর্ভিক্ষ ও রোগ, ব্যাধি হতে মুক্তি লাভের ওসীলা, যাঁর নাম (যাওয়ার) বোরাক্বে আরোহন করার ও ঝান্ডার অধিকারী, যিনি বিপদ আপদ, অসুখ, দুর্ভিক্ষ ও রোগ, ব্যাধি হতে মুক্তি লাভের ওসীলা, যাঁর নাম লওহে মাহ্ফুযে ও কলমে লিপিবদ্ধ, সমুন্নত, সংযোজিত ও অংকিত রয়েছে, যিনি আরব এবং অনারবের সরদার, যাঁর শরীর সুগন্ধিময়, পুতঃপবিত্র বায়তুল্লাহ্ ও হারাম শরীফে দ্বীপ্তিমান, যিনি দ্বি-প্রহরের সূর্য, পূর্ণিমার চাঁদ, সবচেয়ে বেশী মর্যাদার অধিকারী, হেদায়তের নূর, সৃষ্টির আশ্রয়, গুহা, অন্ধকারের বাতি, সুন্দর চরিত্রের অধিকারী, সকল উম্মতের সুপারিশকারী। দানবীর ও দানশীল।
আর আল্লাহ্ যাঁর রক্ষাকারী এবং যাঁর খাদেম হলেন জিব্রাঈল, যাঁর বাহন হল বোরাক্ব। মি’রাজ যাঁর ভ্রমণ, সিদরাতুল মুনতাহা যাঁর স্থান, ক্বা-বা ক্বাওসাউন যাঁর লক্ষ্য, উদ্দেশ্যই যাঁর লক্ষ্য, আর যার অস্তিত্বই উদ্দেশ্য, যিনি রাসূলগণের সরদার, সর্বশেষ নবী, গুনাহগারদের সুপারিশকারী, প্রবাসীদের আপনজন, সারা বিশ্ব-জগতের জন্য শািন্ত স্বরূপ, প্রেমিকদের জন্য স্বস্তি, আশাবাদীদের জন্য আশা। সূর্য, পথযাত্রীদের বাতি এবং সান্নিধ্য প্রাপ্তদের আলোকবর্তিকা। যিনি গরীব, অনাথ এবং মিসকীনদের বন্ধু, উভয় জাতির উভয় হেরমের সরদার নবী, উভয় ক্বিবলার ইমাম, দুনিয়া আখিরাতে আমাদের ওসীলা, যিনি ক্বা-বা কাওসাইনের অধিকারী, বিশ্বপ্রতিপালকের প্রিয়পাত্র, হাসান-হোসাইনের মাতামহ বা নানা। আমাদের অভিভাবক, মানুষ ও জ্বিন জাতির অভিভাবক। যাঁর উপনাম আবুল কাসেম, যার নাম মুহাম্মদ মোস্তফা, যিনি আব্দুল্লাহর পুত্র। আল্লাহর নূর তাঁর সৌন্দর্যের নূর-প্রত্যাশীরা, নূরের মালিক, আপনারা তাঁর উপর দুরুদ ও সালাম পাঠ করুন।